চলতি এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে। এই তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গরমে সুস্থ থাকার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলে যে স্বাস্থ্যের উপর তীব্র গরমের প্রভাব ডিহাইড্রেশন এমনকি হিটস্ট্রোক হতে পারে। তাপ মোকাবেলার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:
সূর্যের সরাসরি এক্সপোজার বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে, যখন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ থাকে।
সূর্যের আলো থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। উপরন্তু, সরাসরি সূর্যালোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে টুপি, ক্যাপ এবং স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
1. পিপাসা না লাগলেও প্রচুর পানি পান করুন। জল ছাড়াও, আপনি হাইড্রেটেড থাকার জন্য নারকেল জল, জুস, বাটারমিল্ক এবং দই খেতে পারেন।
2. ভারী খাবারের পরিবর্তে উচ্চ প্রোটিন সামগ্রী সহ ছোট, ঘন ঘন খাবার খান।
3. আপনি যেখানেই যান সর্বদা আপনার সাথে জল বহন করুন।
সম্ভব হলে দিনে একাধিকবার গোসল করুন। ঘুমানোর আগে গোসল শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
4. সুতির তৈরি হালকা রঙের, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
5. বায়ুপ্রবাহের অনুমতি দেওয়ার জন্য আপনার বাড়িতে ভাল বায়ুচলাচল রাখুন।
6. আপনি যদি শ্বাস নিতে অসুবিধা, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা অনুভব করেন তবে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
7. খাবারের স্বাস্থ্যবিধি এবং গুণমানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন, বিশেষ করে বাইরে খাওয়ার সময়।
8. গরম আবহাওয়ায় খোলা খাবার ও পানীয় গ্রহণের হার বেড়ে যায়। এর ফলে খাদ্য দূষিত হতে পারে এবং জন্ডিসের মতো রোগ ছড়াতে পারে।
9. গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত তাপ হিট র্যাশের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। প্রতিদিন অন্তত একবার গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করুন।
10. গরম আবহাওয়ায় একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হল হিটস্ট্রোক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, তীব্র গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়ে গেলে, শরীরের তাপমাত্রা 105 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে হিটস্ট্রোক হয়। ঘরের ভিতরে বা ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকুন এবং নোনা জল বা ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত পানীয় যেমন ফলের রস, বাটার মিল্ক ইত্যাদি পান করুন। যতটা সম্ভব তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন চা এবং কফি এড়িয়ে চলুন।
গরম আবহাওয়ায় আপনি প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে পারেন। আপনার খাদ্যতালিকায় সরিষা, টমেটো, ক্যাপসিকাম, করলা এবং শাক রাখুন।